নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাগরে ৫৬ দিনের জন্য সব ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ কারনে বরিশালের বৃহত্তম মাছের আড়ত বরিশালের পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কোন সামুদ্রিক মাছ নেই। সামুদ্রিক মাছ না থাকায় এর প্রভাব পড়েছে নদী-খাল বিল-জলাশয় থেকে আহরিত দেশীয় মাছে। বৃহস্পতিবার সকালে বরিশালের পোর্ট রোড মৎস্য অবতরন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে বাজারে তেমন কোন সামুদ্রিক মাছ নেই। নদী-খাল-বিল-জলাশয়ের দেশীয় প্রজাতীর মাছের দামও চড়া। মৎস্য শ্রমিকরা বলছেন, নদী এবং সাগরের মাছ কেনা বেচা করে বরিশালের পোর্ট রোডের দুই হাজার শ্রমিক জীবন জীবিকা চালিয়ে আসছে। সরকার সাগরে ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরা বন্ধ করেছে। এ কারনে মাছের আহরন কমে গেছে। এতে শ্রমিকদের আয় রোজগারও কমে গেছে। এ অবস্থায় পবিার-পরিজন নিয়ে বাঁচতে সরকারী সহায়তা দাবী করেছেন তারা। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে সব ধরনের মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলেদের মাঝে লিফলেট বিতরন করা হয়েছে। মৎস্য আড়ত এবং পল্লীতে পোস্টার সাটানো হয়েছে। জনসচেতনতা সৃস্টি করা হয়েছে। এই সময়ে জেলেদের সাগরে যাওয়া বন্ধ করতে টাস্কফোর্স সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। কেউ নিয়মের ব্যতয় ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধথাকাকালীন বরিশাল জেলার ১ হাজার ৮শ’ ২১ জন মৎস্য শ্রমিকের জন্য বিশেষ ভিজিএফ (চাল) বরাদ্দ হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের কাছে চাল পৌঁছে দেয়ার কথা বলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।
Leave a Reply